Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৩rd অক্টোবর ২০২২

বার্ড ক্যাম্পাসে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন, গবেষণা এবং ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার শিরোনাম :    বার্ড ক্যাম্পাসে ট্রাইকো কম্পোস্ট উৎপাদন, গবেষণা এবং ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ

 

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার পটভূমি :        উদ্ভিদ ও প্রাণিজ বিভিন্ন প্রকার জৈববস্তুকে ট্রাইকো-ড্রার্মা সাসপেনশনের সাহায্যে কম সময়ে জমিতে প্রয়োগের উপযোগী, উন্নত মানের জৈব সারে রূপান্তর করাকে ট্রাইকো-কম্পোস্ট বলে। দেশের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র, বার্ড ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাইকো-কম্পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা চলছে। ট্রাইকো-কম্পোস্ট মাটিতে ক্ষতিকারক ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।  এছাড়া জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ বা হৃদপিন্ড। মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য জৈব সারের প্রয়োজন। আমাদের দেশে প্রচলিত জৈব সারের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ সার ট্রাইকো কম্পোস্ট। উদ্ভিদের বিশেষ ১৬টি খাদ্য উপাদানের মধ্যে ট্রাইকো কম্পোস্ট এ ১২-১৩টি উপাদান বিদ্যমান বিধায় এ ধরনের জৈব সার নিয়ে ব্যাপক গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণা প্রয়োজন।

 

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্য:

১) বার্ড, ক্যাম্পাসে ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন, গবেষণা এবং বিভিন্ন সুফলভোগীদের নিয়ে ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ;

২) ফলাফল প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রচলিত এবং সুরক্ষিত কম্পোস্ট উভয়কে অন্যান্য কম্পোস্টের সাথে তুলনা করে ট্রাইকো-কম্পোস্টের মান মূল্যায়ন করা।

 

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল কম্পোনেন্টসমূহ :

১. গোবর ও জৈব আবর্জনা ব্যবহার করে ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন;

২. ট্রাইকো-কম্পোস্ট ব্যবহার করে গবেষণা ও প্রদর্শনী প্লট তৈরী;

৩. ব্যবসায়িক মডেল বিকাশ।

 

গ্রামীন উন্নয়নে প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রমের প্রভাব ও গুরুত্ব :

ট্রাইকো-কম্পোস্ট সব প্রকার ফসলে যে কোন সময়ে ব্যবহার করা যায়। সবজি এবং কৃষি জমিতে ২-৩ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে ও ফল গাছে গাছ প্রতি ৩-৭ কেজি হারে ব্যবহার করা হয়। ফুল বাগানের ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ থেকে ৬০০ কেজি এক হেক্টর জমিতে।  মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার ব্যবহারে মাঠে ফসলের ফলন ২০-২৫ ভাগ বৃদ্ধিসহ গুণগতমান ও স্বাদ বাড়ে।  এমনকি ফল না ধরা অনেক পুরনো ফল গাছে নতুন করে ফল ধরাসহ ফলদ বৃক্ষে দুইগুণ অবধি ফসল বেড়েছে।  জমির স্বাস্থ্য ও উর্বতা বজায় রাখার জন্য জৈব সার ব্যবহার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে এবং মানুষ অনেক বেশি সচেতন এ ব্যাপারে। ট্রাইকো-কম্পোস্ট উৎপাদন ও তার যথাযথ ব্যবহার গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ও জমির স্বাস্থ্য রক্ষায় এক মূল্যবান ভূমিকা পালন করবে। 

২০২১-২২ অর্থ বছরে মোট বরাদ্দ ছিল ২,০০,০০০.০০ (দুই লক্ষ) টাকা। বরাদ্দকৃত অর্থ হতে উক্ত অর্থ বছরে ১,৯৬,০১৪.০০ (এক লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার চৌদ্দ) টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

 

২০২১-২২ অর্থ বছরে কার্যক্রম অগ্রগতিঃ

১। প্রকল্পের শেড নির্মাণ করা হয়েছে।

২। জনবল নিয়োগ করা হয়েছে।

৩। ১০০০ কেজি কম্পোস্ট সার তৈরী করা হয়েছে।

 

২০২২-২৩ অর্থ বছরের পরিকল্পনাঃ

১) ৬০০০কেজি ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার উৎপাদন করা হবে;

২) ফলাফল প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রচলিত এবং সুরক্ষিত কম্পোস্ট উভয়কে অন্যান্য কম্পোস্টের সাথে তুলনা করে ট্রাইকো-কম্পোস্টের মান মূল্যায়ন করা হবে।

৩। কম্পোস্ট সার বিপণন করা হবে।