Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ নভেম্বর ২০২২

বছর ব্যাপী নিরাপদ সবজি উৎপাদন শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা

প্রকল্প/প্রায়োগিক গবেষণার শিরোনাম: বছরব্যাপী নিরাপদ সবজি উৎপাদন শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা

উদ্যোগী মন্ত্রাণালয়/বিভাগ

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

বাস্তবায়নকারী সংস্থা

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কোটবাড়ী, কুমিল্লা

বাস্তবায়নকাল

জুলাই ২০১৯- জুন ২০২১

বাজেট

৪.৫০ লক্ষ টাকা (জুলাই ২০১৯-জুন ২০২১ পর্যন্ত)

অর্থায়নের ধরণ ও উৎস 

মহাপরিচালক, বার্ড কর্তৃক রাজস্ব বাজেটভুক্ত হিসেবে অনুমেদিত

প্রকল্প পরিচালক/পরিচালকবৃন্দের নাম ও পদবী

বাবু হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ও সহকারী পরিচালক (কৃষি ও পরিবেশ), বার্ড, কুমিল্লা।

 

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার পটভূমি:

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দামি বা সস্তা যে ধরনের খাবারই খাই না কেন, তার মধ্যে শাকসবজির গুরুত্ব অনেক বেশি। কেননা শাকসবজিতে সব ধরনের খাদ্য উপাদানই রয়েছে। তার মধ্যে ভিটামিন ও খনিজ লবণ উল্লেখযোগ্য যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানব দেহের ভিটামিন ও খনিজ লবণের যে চাহিদা তার সবটুকুই প্রায় শাকসবজি থেকেই পূরণ হয়। শাকসবজি চাষের সুবিধা হলো ফসলি জমিতে যেমন উন্নত পদ্ধতিতে শাকসবজি চাষ করা যায়, তেমনি আইল বা রাস্তার ধারে, বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে, পুকুর পাড়ে এমনকি বাড়ির আঙিনায়, রান্নাঘরের চালে, দালানের ছাদে, বারান্দার টবে, টিন বা মাটির পাত্রেও অনেক রকমের সবজি উৎপাদন করা যায়। শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসহ অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান এবং সে সাথে আঁশেও ভরপুর থাকে। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, খাবারে রুচি আনে। এ ছাড়া হজমশক্তি বৃদ্ধিতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে যথেষ্ট সহায়তা করে। তাই দেহকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে ও সুস্থ-সবলভাবে বেঁচে থাকতে নিয়মিত পুষ্টিকর শাক সবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক ২ শত গ্রাম শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমরা খাই মাত্র ৬০-৭০ গ্রাম, তাও আলুসহ। ফলে শাক সবজি গ্রহণে এই স্বল্পতায় দেশের অধিকাংশ মানুষ দৈহিক এবং মানসিক অসুখে ভুগছেন। মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ বিশেষ করে মেয়েরা লৌহের অভাবে রক্তস্বল্পতার শিকার। একমাত্র ভিটামিন-এ’র অভাবে বছরে ৩০ হাজারেরও অধিক শিশু অন্ধ হয়ে যায়। অথচ হাতের কাছে পাওয়া কচুশাক, কলমিশাক, হেলেঞ্চা, সজিনাসহ নানারকম শাকসবজি অভাবী মানুষের পুষ্টি সরবরাহ করে। বর্ণিত গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বার্ড ক্যাম্পাসের একটি অনাবাদী, পরিত্যক্ত ও চাষ অনুপযোগী জমিকে চাষ উপযোগীকরণের মাধ্যমে প্রকল্পটির কার্যক্রম ২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলমান রয়েছে এবং রাসায়নিক সারের ব্যবহারের মাত্রা কমিয়ে জৈব সার (কেঁচো সার) ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল উদ্দেশ্য:

রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের (কেঁচো সার) অধিক ব্যবহারের মাধ্যমে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন একদিকে যেমন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যাকীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণে সম্ভব হবে, তেমনি সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃজনের পাশাপাশি যথাযথভাবে জৈব সার ব্যবহারের সুফল এবং জমিতে রাসায়নিক সারের অধিক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যসমূহ হল

ক) আধুনিক পদ্ধতিতে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করা;

খ) রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের (কেঁচো সার) মাধ্যমে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা;এবং

গ) সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের ব্যবহারিক পাঠদান করা।

প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণার মূল কম্পোনেন্টসমূহ:

  • বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন ও বিপণন করা
  • উদ্যোক্তা সৃজন ও  প্রশিক্ষণ প্রদান করা

গ্রামীণ উন্নয়নে প্রকল্পের/প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রমের প্রভাব ও গুরুত্ব (সচিত্র বর্ণনা):

বার্ড কর্তৃক গৃহীত গ্রামীণ উন্নয়নের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের মধ্যে গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃজন অন্যতম। যার ফলশ্রুত প্রকল্প এলাকা বার্ড ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে চাষ অনুপযোগী জমিটিকে উৎপাদন উপযোগী করে প্লটে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার (কেঁচো সার) ব্যবহারের মাধ্যমে বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কোর্সের সুফলভোগীদের সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে গ্রামীণ উদ্যোক্তা সৃজনের পাশাপাশি যথাযথভাবে জৈব সার ব্যবহারের সুফল এবং অধিক পরিমাণে রাসায়নিক সার ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে আমার বাড়ি আমার খামার ও লালমাই-ময়নামতি প্রকল্পের সবজি উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

ছবিতে সবজি উৎপাদন শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের কিছু দৃশ্য